নীলাঞ্জনাঃ
বাংলাদেশে যে কত নান্দনিক দৃশ্য আছে না ঘুরলে বা না দেখলে বোঝা যাবেনা। আজকে আমার এ লেখায় সুন্দর সুন্দর নান্দনিক জমিদার বাড়ির স্থাপত্য নিয়ে লিখব। তাও আবার শত বছর আগের তৈরি জমিদার বাড়িগুলো। ওই সময়েও স্থাপত্য শিল্পে কত সমৃদ্ধ ছিল বাংলাদেশ তা ভাবতে অবাক লাগে কেননা বর্তমানে এখন এ ধরনের স্থাপত্য কোথায় তৈরী হয় কিনা জানা নেই! আজকে সাতটি জমিদার বাড়ি নিয়ে লিখেছেন... নীলাঞ্জনা।
উত্তরা গণভবন, নাটোরঃ
রাজা দয়ারাম রায় এই জমিদার বাড়ির নির্মাতা। নাটোর শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে দীঘাপতিয়া রাজবাড়িটি সকলের কাছে উত্তরা গণভবন নামে পরিচিত। দিঘাপতিয়া রাজবংশের ও জমিদারীর গোড়াপত্তন হয় ১৭৬০ সালে। ১৯৫২ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত এই বাড়িটি অযতেœ থাকে। পরে তৎকালীন গভর্নর মোনায়েম খান এর রক্ষণাবেক্ষণের নির্দেশ দেন এবং নামকরণ করেন “গভর্নর হাউস” হিসেবে। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালের ৯ ফেব্রæয়ারিতে এর নামকরণ করা হয় “উত্তরা গণভবন”। চারিদিকে মনোরম লেক, সুউচ্চ প্রাচীর পরিবেষ্টিত ছোট বড় ১২টি কারুকার্যখচিত ও দৃষ্টিনন্দন ভবন নিয়ে উত্তরা গণভবন ৪১.৫১ একর জমির উপর অবস্থিত। অভ্যন্তরে রয়েছে ইতালী থেকে সংগৃহীত মনোরম ভাস্কর্যে সজ্জিত বাগান, যেখানে রয়েছে বিরল প্রজাতির নানা উদ্ভিদ।