নীলাঞ্জনাঃ
বাংলাদেশে যে কত নান্দনিক দৃশ্য আছে না ঘুরলে বা না দেখলে বোঝা যাবেনা। আজকে আমার এ লেখায় সুন্দর সুন্দর নান্দনিক জমিদার বাড়ির স্থাপত্য নিয়ে লিখব। তাও আবার শত বছর আগের তৈরি জমিদার বাড়িগুলো। ওই সময়েও স্থাপত্য শিল্পে কত সমৃদ্ধ ছিল বাংলাদেশ তা ভাবতে অবাক লাগে কেননা বর্তমানে এখন এ ধরনের স্থাপত্য কোথায় তৈরী হয় কিনা জানা নেই! আজকে সাতটি জমিদার বাড়ি নিয়ে লিখেছেন... নীলাঞ্জনা।
তাজহাট জমিদার বাড়ি, রংপুরঃ
রংপুর শহর থেকে দক্ষিণ পূর্বে ৬ কিলোমিটার দূরে মাহিগঞ্জের তাজহাট গ্রামে এই জমিদার বাড়িটি অবস্থিত। মহারাজা গোপাল রায় এটি নির্মাণ করেন। ২,০০০ রাজমিস্ত্রির পরিশ্রমের ফলে নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯১৭ সালে। তৎকালীন সময় খরচ হয় আনুমনিক দেড় কোটি টাকা। মহারাজা গোপাল রায়ের এটি নির্মাণ করতে সময় লেগেছিল প্রায় ১০ বছর। প্রায় ২১০ ফুট প্রস্থের প্রাচীন মুঘল স্থাপত্যের অনুকরণে নির্মিত জমিদার বাড়িটি ইতালির মার্বেল পাথরের তৈরি। সর্বমোট ৩১টি সিড়ি আছে যার প্রতিটাই ইতালীয় ঘরানার মার্বেল পাথরে তৈরি।
১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ প্রাসাদটিকে একটি সংরক্ষিত স্থাপনা তথা স্থাপত্য হিসেবে ঘোষণা করে। বাংলাদেশ সরকার এ স্থাপত্যের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনুধাবন করে ২০০৫ সালে রংপুর জাদুঘরকে স্থানান্তর করে এ প্রাসাদের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে আসে। মার্বেলের সিঁড়ি বেয়ে জাদুঘরে উঠলেই দেখা যায় বেশ কয়েকটি প্রদর্শনী কক্ষ যাতে রয়েছে দশম ও একাদশ শতাব্দীর টেরাকোটা শিল্পকর্ম।